কাজ শুরুর প্রায় এক দশক পর বহু প্রত্যাশিত বাস রেপিট ট্রানজিট বা বিআরটি প্রকল্পের একটি ফ্লাইওভার আজ রোববার (৬ নভেম্বর) খুলে দেওয়া হচ্ছে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে চলাচলকারী মানুষ এর সুবিধা পাবে। বিআরটি প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুল ইসলাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিআরটি প্রকল্পের ৪.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ আব্দুল্লাহপুর হাউস বিল্ডিং থেকে গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন পর্যন্ত অংশে ঢাকামুখী দুটি লেন যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় যান চলাচলের জন্য ঢাকামুখী দুটি লেন উন্মুক্ত করবেন।
এতে আরও বলা হয়, যান চলাচলের জন্য লেন দুটি উন্মুক্ত করার পর গাজীপুর মহানগরের টঙ্গী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন প্রান্তে মন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন।
এর আগে বিআরটি প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিআরটি প্রকল্পের গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী থেকে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত অংশে নির্মিত ফ্লাইওভারটির নির্মাণকাজ শেষ করার পর গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি) এবং ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) এর সংশ্লিষ্ট বিভাগকে জানানো হয়। ফ্লাইওভারটি কয়েক দফা সরেজমিনে পরিদর্শন করে সড়কের নিরাপত্তা সংক্রান্ত কিছু বিষয়ে মতামত ও পরামর্শ দেওয়া হয়। আমরা এটির নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে যে সব পরামর্শ পেয়েছি তা বাস্তবায়ন করেছি। ’
কোন কোন যানবাহন চলাচল করতে পারবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সব রকম যানবাহনের জন্যই ওই অংশটুকু খুলে দেওয়া হবে। ’
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত মহাসড়কের যানজট দূর করতে ২০১২ সালে হাতে নেওয়া হয় বিআরটি প্রকল্প। কিন্তু প্রকল্প শুরুর পর চার দফা সময় বাড়িয়েও সর্বশেষ নির্ধারিত সময়েও শেষ হচ্ছে না বাস র্যাপিড ট্রানজিট বা বিআরটি প্রকল্পের কাজ। সর্বশেষ মেয়াদ বৃদ্ধির পর চলতি বছরের ডিসেম্বরে বহুল আলোচিত বিআরটি প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা। ৬ বছরে কাজ শেষ করার থাকলেও নানা অজুহাতে সময় বাড়ানো হয়েছে চারবার। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে প্রকল্প ব্যয়। সময় ফুরিয়ে গেলেও কাজ এখনো ফুরায়নি। তাই আবারও প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে।
প্রকল্পটির বাস্তবায়ন হলে গাজীপুর সিটির যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন ঘটবে। সিটি করপোরেশনে বসবাসরত জনগণ ও দূর-দূরান্তের যান চলাচলে খুলে যাবে এক নতুন দিগন্ত।